ভিটামিন ডি এর অভাবে শিশুদের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। ভিটামিন ডি এর অভাবে শিশুদের রিকেটস নামক এক ধরনের অসুখ হয়। শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ভিটামিন ডি এর অভাবে শিশুর হাড় নরম হয়ে ক্ষয় হয়ে যায়।এবং দাঁত ক্ষয় বা ক্যাভেটি হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় ভিটামিন ডি এর অভাবে শিশুর দাঁত উঠতে দেরি হয়।
সুতরাং বুঝতেই পারছেন সন্তানের সুস্থতা নিশ্চিত করতে ভিটামিন ডি বাদ দেয়ার কোনো সুযোগ নাই।
শরীরের ত্বকে রোদ লেগে ভিটামিন ডি উৎপন্ন হয়ে তা যকৃত থেকে কিডনিতে গিয়ে পৌঁছায় এবং হরমোনের মতো কাজ করে। অন্ত্রে ক্যালসিয়াম শোষণ করে শরীরে ক্যালসিয়াম বাড়াতে সাহায্য করে। এ ছাড়া দেহের নানা বিপাকজনিত বিক্রিয়ায় ভিটামিন ডি ভূমিকা পালন করে থাকে।
তাই সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত এর যেকোনো সময় শিশুকে রোদে খেলা করার সুযোগ দিবেন অর্থাৎ সূর্যের আলো সরাসরি শিশুর গায়ে লাগাবেন।
শিশু যখন রোদে খেলা করবে তখন খুব বেশি কাপর দিয়ে শিশুর শরীর ঢেকে রাখবেন না।
শিশুকে স্কুলে যাবার সময় সানস্ক্রিন মাখাবেন না।
এবং শিশুকে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াবেন।
ডাঃ মোঃ ফেরদৌস রায়হান
সহকারী অধ্যাপক,( অর্থোপেডিক সার্জারী)।
শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বরিশাল।
1 Comment
Hi, this is a comment.
To get started with moderating, editing, and deleting comments, please visit the Comments screen in the dashboard.
Commenter avatars come from Gravatar.